وَالصَّافَّاتِ صَفًّا (1) শপথ তাদের যারা সারিবদ্ধভাবে দণ্ডায়মান [১] |
فَالزَّاجِرَاتِ زَجْرًا (2) অতঃপর যারা কঠোর পরিচালক [১] |
فَالتَّالِيَاتِ ذِكْرًا (3) আর যারা 'যিকর' আবৃত্তিতে রত- [১] |
إِنَّ إِلَٰهَكُمْ لَوَاحِدٌ (4) নিশ্চয় তোমাদের ইলাহ্ এক |
رَّبُّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا وَرَبُّ الْمَشَارِقِ (5) যিনি আসমানসমূহ, যমীন ও তাদের অন্তর্বর্তী সবকিছুর রব এবং রব সকল উদয়স্থলের [১]। |
إِنَّا زَيَّنَّا السَّمَاءَ الدُّنْيَا بِزِينَةٍ الْكَوَاكِبِ (6) নিশ্চয় আমরা কাছের আসমানকে নক্ষত্ররাজির সুষমা দ্বারা সুশোভিত করেছি [১] |
وَحِفْظًا مِّن كُلِّ شَيْطَانٍ مَّارِدٍ (7) এবং রক্ষা করেছি প্রত্যেক বিদ্রোহী শয়তান থেকে [১]। |
لَّا يَسَّمَّعُونَ إِلَى الْمَلَإِ الْأَعْلَىٰ وَيُقْذَفُونَ مِن كُلِّ جَانِبٍ (8) ফলে তারা ঊর্ধ্ব জগতের কিছু শুনতে পারে না [১]। আর তাদের প্রতি নিক্ষিপ্ত হয় সব দিক থেকে |
دُحُورًا ۖ وَلَهُمْ عَذَابٌ وَاصِبٌ (9) বিতাড়নের জন্য [১] এবং তাদের জন্য আছে অবিরাম শাস্তি। |
إِلَّا مَنْ خَطِفَ الْخَطْفَةَ فَأَتْبَعَهُ شِهَابٌ ثَاقِبٌ (10) তবে কেউ হঠাৎ কিছু শুনে ফেললে জ্বলন্ত উল্কাপিণ্ড তার পশ্চাদ্ধাবন করে। |
فَاسْتَفْتِهِمْ أَهُمْ أَشَدُّ خَلْقًا أَم مَّنْ خَلَقْنَا ۚ إِنَّا خَلَقْنَاهُم مِّن طِينٍ لَّازِبٍ (11) সুতরাং তাদেরকে জিজ্ঞেস করুন, তারা সৃষ্টিতে দৃঢ়তর, না আমরা অন্য যা কিছু সৃষ্টি করেছি তা [১]? তাদেরকে তো আমরা সৃষ্টি করেছি আঠাল মাটি হতে। |
بَلْ عَجِبْتَ وَيَسْخَرُونَ (12) আপনি তো বিস্ময় বোধ করছেন, আর তারা করছে বিদ্রূপ [১]। |
وَإِذَا ذُكِّرُوا لَا يَذْكُرُونَ (13) এবং যখন তাদেরকে উপদেশ দেয়া হয়, তখন তারা তা গ্রহণ করে না। |
وَإِذَا رَأَوْا آيَةً يَسْتَسْخِرُونَ (14) আর যখন তারা কোনো নিদর্শন দেখে, তখন তারা উপহাস করে |
وَقَالُوا إِنْ هَٰذَا إِلَّا سِحْرٌ مُّبِينٌ (15) এবং বলে, 'এটা তো এক সুস্পষ্ট জাদু ছাড়া আর কিছুই নয়। |
أَإِذَا مِتْنَا وَكُنَّا تُرَابًا وَعِظَامًا أَإِنَّا لَمَبْعُوثُونَ (16) আমরা যখন মরে যাব এবং মাটি ও অস্থিতে পরিণত হব, তখনও কি আমরা পুনরুত্থিত হব |
أَوَآبَاؤُنَا الْأَوَّلُونَ (17) এবং আমাদের পিতৃপুরুষরাও?’ |
قُلْ نَعَمْ وَأَنتُمْ دَاخِرُونَ (18) বলুন, ‘হ্যাঁ, এবং তোমরা হবে লাঞ্ছিত। |
فَإِنَّمَا هِيَ زَجْرَةٌ وَاحِدَةٌ فَإِذَا هُمْ يَنظُرُونَ (19) অতঃপর তা তো একটিমাত্ৰ প্ৰচণ্ড ধমক---আর তখনই তারা দেখবে [১] |
وَقَالُوا يَا وَيْلَنَا هَٰذَا يَوْمُ الدِّينِ (20) এবং তারা বলবে, 'হায়, দুর্ভোগ আমাদের! এটাই তো প্রতিদান দিবস। |
هَٰذَا يَوْمُ الْفَصْلِ الَّذِي كُنتُم بِهِ تُكَذِّبُونَ (21) এটাই ফয়সালার দিন, যার প্রতি তোমরা মিথ্যা আরোপ করতে। |
۞ احْشُرُوا الَّذِينَ ظَلَمُوا وَأَزْوَاجَهُمْ وَمَا كَانُوا يَعْبُدُونَ (22) (ফেরেশতাদেরকে বলা হবে,) 'একত্র কর যালিম [১] ও তাদের সহচরদেরকে [২] এবং তাদেরক, যাদের 'ইবাদত করত তারা |
مِن دُونِ اللَّهِ فَاهْدُوهُمْ إِلَىٰ صِرَاطِ الْجَحِيمِ (23) আল্লাহর পরিবর্তে। আর তাদেরকে পরিচালিত কর জাহান্নামের পথে [১] |
وَقِفُوهُمْ ۖ إِنَّهُم مَّسْئُولُونَ (24) আর তাদেরকে থামাও, কারণ তাদেরকে তো প্রশ্ন করা হবে। |
مَا لَكُمْ لَا تَنَاصَرُونَ (25) তোমাদের কী হল যে, তোমরা একে অন্যের সাহায্য করছ না |
بَلْ هُمُ الْيَوْمَ مُسْتَسْلِمُونَ (26) বস্তুত তারা হবে আজ আতাসমৰ্পণকারী। |
وَأَقْبَلَ بَعْضُهُمْ عَلَىٰ بَعْضٍ يَتَسَاءَلُونَ (27) আর তারা একে অন্যের সামনাসামনি হয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে |
قَالُوا إِنَّكُمْ كُنتُمْ تَأْتُونَنَا عَنِ الْيَمِينِ (28) তারা বলবে, 'তোমরা তো তোমাদের শপথ নিয়ে আমাদের কাছে আসতে [১]। |
قَالُوا بَل لَّمْ تَكُونُوا مُؤْمِنِينَ (29) তারা (নেতৃস্থানীয় কাফেররা) বলবে, 'বরং তোমরা তো মুমিন ছিলে না |
وَمَا كَانَ لَنَا عَلَيْكُم مِّن سُلْطَانٍ ۖ بَلْ كُنتُمْ قَوْمًا طَاغِينَ (30) এবং তোমাদের উপর আমাদের কোনো কর্তৃত্ব ছিল না; বস্তুত তোমরাই ছিলে সীমালংঘনকারী সম্প্রদায়। |
فَحَقَّ عَلَيْنَا قَوْلُ رَبِّنَا ۖ إِنَّا لَذَائِقُونَ (31) তাই আমাদের বিরুদ্ধে আমাদের রবের কথা সত্য হয়েছে, নিশ্চয় আমরা শাস্তি আস্বাদন করব। |
فَأَغْوَيْنَاكُمْ إِنَّا كُنَّا غَاوِينَ (32) সুতরাং আমরা তোমাদেরকে বিভ্রান্ত করেছিলাম, কারণ আমরা নিজেরাও ছিলাম বিভ্রান্ত। |
فَإِنَّهُمْ يَوْمَئِذٍ فِي الْعَذَابِ مُشْتَرِكُونَ (33) অতঃপর তারা সবাই সেদিন শাস্তির শরীক হবে। |
إِنَّا كَذَٰلِكَ نَفْعَلُ بِالْمُجْرِمِينَ (34) নিশ্চয় আমরা অপরাধীদের সাথে এরূপ করে থাকি। |
إِنَّهُمْ كَانُوا إِذَا قِيلَ لَهُمْ لَا إِلَٰهَ إِلَّا اللَّهُ يَسْتَكْبِرُونَ (35) তাদেরকে 'আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ নেই’ বলা হলে তারা অহংকার করত [১] |
وَيَقُولُونَ أَئِنَّا لَتَارِكُو آلِهَتِنَا لِشَاعِرٍ مَّجْنُونٍ (36) এবং বলত, 'আমরা কি এক উন্মাদ কবির কথায় আমাদের ইলাহদেরকে বর্জন করব |
بَلْ جَاءَ بِالْحَقِّ وَصَدَّقَ الْمُرْسَلِينَ (37) বরং তিনি তো সত্য নিয়ে এসেছেন এবং তিনি রাসূলদেরকে সত্য বলে স্বীকার করেছেন। |
إِنَّكُمْ لَذَائِقُو الْعَذَابِ الْأَلِيمِ (38) তোমরা অবশ্যই যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি আস্বাদনকারী হবে |
وَمَا تُجْزَوْنَ إِلَّا مَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ (39) এবং তোমরা যা করতে তারই প্রতিফল পাবে |
إِلَّا عِبَادَ اللَّهِ الْمُخْلَصِينَ (40) তবে তারা নয় যারা আল্লাহর একনিষ্ঠ বান্দা। |
أُولَٰئِكَ لَهُمْ رِزْقٌ مَّعْلُومٌ (41) তাদের জন্য আছে নির্ধারিত রিযিক |
فَوَاكِهُ ۖ وَهُم مُّكْرَمُونَ (42) ফলমূল; আর তারা হবে সম্মানিত |
فِي جَنَّاتِ النَّعِيمِ (43) নেয়ামত-পূর্ণ জান্নাতে |
عَلَىٰ سُرُرٍ مُّتَقَابِلِينَ (44) মুখোমুখি হয়ে আসনে আসীন হবে। |
يُطَافُ عَلَيْهِم بِكَأْسٍ مِّن مَّعِينٍ (45) তাদেরকে ঘুরে ঘুরে পরিবেশন করা হবে বিশুদ্ধ সুরাপূর্ণ পাত্ৰ [১] |
بَيْضَاءَ لَذَّةٍ لِّلشَّارِبِينَ (46) শুভ্ৰ উজ্জ্বল, যা হবে পানকারীদের জন্য সুস্বাদু। |
لَا فِيهَا غَوْلٌ وَلَا هُمْ عَنْهَا يُنزَفُونَ (47) তাতে ক্ষতিকর কিছু থাকবে না এবং তাতে তারা মাতালও হবে না |
وَعِندَهُمْ قَاصِرَاتُ الطَّرْفِ عِينٌ (48) তাদের সঙ্গে থাকবে আনতনয়না [১] ডাগর চোখ বিশিষ্টা [২] (হুরীগণ)। |
كَأَنَّهُنَّ بَيْضٌ مَّكْنُونٌ (49) তারা যেন সুরক্ষিত ডিম্ব [১]। |
فَأَقْبَلَ بَعْضُهُمْ عَلَىٰ بَعْضٍ يَتَسَاءَلُونَ (50) অতঃপর তারা একে অন্যের সামনাসামনি হয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে |
قَالَ قَائِلٌ مِّنْهُمْ إِنِّي كَانَ لِي قَرِينٌ (51) তাদের কেউ বলবে, 'আমার ছিল এক সঙ্গী |
يَقُولُ أَإِنَّكَ لَمِنَ الْمُصَدِّقِينَ (52) ‘সে বলত, 'তুমি কি তাদের অন্তর্ভুক যারা বিশ্বাস করে যে |
أَإِذَا مِتْنَا وَكُنَّا تُرَابًا وَعِظَامًا أَإِنَّا لَمَدِينُونَ (53) ‘আমরা যখন মরে যাব এবং আমরা মাটি ও অস্থিতে পরিণত হব তখনও কি আমাদেরকে প্রতিফল দেয়া হবে?’ |
قَالَ هَلْ أَنتُم مُّطَّلِعُونَ (54) আল্লাহ্ বলবেন, 'তোমরা কি তাকে দেখতে চাও?’ |
فَاطَّلَعَ فَرَآهُ فِي سَوَاءِ الْجَحِيمِ (55) অতঃপর সে ঝুঁকে দেখবে এবং তাকে দেখতে পাবে জাহান্নামের মধ্যস্থলে |
قَالَ تَاللَّهِ إِن كِدتَّ لَتُرْدِينِ (56) বলবে, ‘আল্লাহর কসম! তুমি তো আমাকে প্রায় ধ্বংসই করেছিলে |
وَلَوْلَا نِعْمَةُ رَبِّي لَكُنتُ مِنَ الْمُحْضَرِينَ (57) আমার রবের অনুগ্রহ না থাকলে আমিও তো হাযিরকৃত [১] ব্যক্তিদের মধ্যে শামিল হতাম। |
أَفَمَا نَحْنُ بِمَيِّتِينَ (58) আমাদের তো আর মৃত্যু হবে না |
إِلَّا مَوْتَتَنَا الْأُولَىٰ وَمَا نَحْنُ بِمُعَذَّبِينَ (59) প্রথম মৃত্যুর পর এবং আমাদেরকে শাস্তিও দেয়া হবে না |
إِنَّ هَٰذَا لَهُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ (60) এটা তো অবশ্যই মহাসাফল্য। |
لِمِثْلِ هَٰذَا فَلْيَعْمَلِ الْعَامِلُونَ (61) এরূপ সাফল্যের জন্য আমলকারীদের উচিত আমল করা |
أَذَٰلِكَ خَيْرٌ نُّزُلًا أَمْ شَجَرَةُ الزَّقُّومِ (62) আপ্যায়নের জন্য কি এটাই শ্রেয়, না যাক্কুম গাছ |
إِنَّا جَعَلْنَاهَا فِتْنَةً لِّلظَّالِمِينَ (63) যালিমদের জন্য আমরা এটা সৃষ্টি করেছি পরীক্ষাস্বরূপ |
إِنَّهَا شَجَرَةٌ تَخْرُجُ فِي أَصْلِ الْجَحِيمِ (64) এ গাছ উদ্গত হয় জাহান্নামের তলদেশ থেকে |
طَلْعُهَا كَأَنَّهُ رُءُوسُ الشَّيَاطِينِ (65) এর মোচা যেন শয়তানের মাথা |
فَإِنَّهُمْ لَآكِلُونَ مِنْهَا فَمَالِئُونَ مِنْهَا الْبُطُونَ (66) তারা তো এটা থেকে খাবে এবং উদর পূর্ণ করবে এটা দিয়ে [১]। |
ثُمَّ إِنَّ لَهُمْ عَلَيْهَا لَشَوْبًا مِّنْ حَمِيمٍ (67) তদুপরি তাদের জন্য থাকবে ফুটন্ত পানির মিশ্রণ। |
ثُمَّ إِنَّ مَرْجِعَهُمْ لَإِلَى الْجَحِيمِ (68) তারপর তাদের প্রত্যাবর্তন হবে প্ৰজ্বলিত আগুনেরই দিকে। |
إِنَّهُمْ أَلْفَوْا آبَاءَهُمْ ضَالِّينَ (69) তারা তো তাদের পিতৃপুরুষদেরকে পেয়েছিল বিপথগামী |
فَهُمْ عَلَىٰ آثَارِهِمْ يُهْرَعُونَ (70) অতঃপর তাদের পদাঙ্ক অনুসরণে ধাবিত হয়েছিল [১]। |
وَلَقَدْ ضَلَّ قَبْلَهُمْ أَكْثَرُ الْأَوَّلِينَ (71) আর অবশ্যই তাদের আগে পূর্ববতীদের বেশীর ভাগ বিপথগামী হয়েছিল |
وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا فِيهِم مُّنذِرِينَ (72) আর অবশ্যই আমরা তাদের মধ্যে সতর্ককারী পাঠিয়েছিলাম। |
فَانظُرْ كَيْفَ كَانَ عَاقِبَةُ الْمُنذَرِينَ (73) কাজেই লক্ষ্য করুন যাদেরকে সতর্ক করা হয়েছিল, তাদের পরিণাম কী হয়েছিল |
إِلَّا عِبَادَ اللَّهِ الْمُخْلَصِينَ (74) তবে আল্লাহর একনিষ্ঠ বান্দাদের কথা স্বতন্ত্র [১]। |
وَلَقَدْ نَادَانَا نُوحٌ فَلَنِعْمَ الْمُجِيبُونَ (75) আর অবশ্যই নূহ আমাদেরকে ডেকেছিলেন, অতঃপর (দেখুন) আমরা কত উত্তম সাড়াদানকারী। |
وَنَجَّيْنَاهُ وَأَهْلَهُ مِنَ الْكَرْبِ الْعَظِيمِ (76) আর তাকে এবং তার পরিবারবর্গকে আমরা উদ্ধার করেছিলাম মহাসংকট থেকে। |
وَجَعَلْنَا ذُرِّيَّتَهُ هُمُ الْبَاقِينَ (77) আর তার বংশধরদেরকেই আমরা বিদ্যমান রেখেছি (বংশপরম্পরায়) [১] |
وَتَرَكْنَا عَلَيْهِ فِي الْآخِرِينَ (78) আর আমরা পরবর্তীদের মধ্যে তার জন্য সুখ্যাতি রেখেছি। |
سَلَامٌ عَلَىٰ نُوحٍ فِي الْعَالَمِينَ (79) সমগ্র সৃষ্টির মধ্যে নূহের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক। |
إِنَّا كَذَٰلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِينَ (80) নিশ্চয় আমরা এভাবে মুহসিনদেরকে পুরস্কৃত করে থাকি |
إِنَّهُ مِنْ عِبَادِنَا الْمُؤْمِنِينَ (81) নিশ্চয় তিনি ছিলেন আমাদের মুমিন বান্দাদের অন্যতম। |
ثُمَّ أَغْرَقْنَا الْآخَرِينَ (82) তারপর অন্য সকলকে আমরা নিমজ্জিত করেছিলাম। |
۞ وَإِنَّ مِن شِيعَتِهِ لَإِبْرَاهِيمَ (83) আর ইবরাহীম তো তার অনুগামীদের অন্তর্ভুক্ত [১]। |
إِذْ جَاءَ رَبَّهُ بِقَلْبٍ سَلِيمٍ (84) স্মরণ করুন, যখন তিনি তার রবের কাছে উপস্থিত হয়েছিলেন বিশুদ্ধচিত্তে [১] |
إِذْ قَالَ لِأَبِيهِ وَقَوْمِهِ مَاذَا تَعْبُدُونَ (85) যখন তিনি তার পিতা ও তার সম্পপ্রদায়কে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘তোমরা কিসের ইবাদাত করছ |
أَئِفْكًا آلِهَةً دُونَ اللَّهِ تُرِيدُونَ (86) তোমার কি আল্লাহর পরিবর্তে অলীক ইলাহ্গুলোকে চাও |
فَمَا ظَنُّكُم بِرَبِّ الْعَالَمِينَ (87) ‘তাহলে সকলসৃষ্টির রব সম্বন্ধে তোমাদের ধারণা কী [১] ?’ |
فَنَظَرَ نَظْرَةً فِي النُّجُومِ (88) অতঃপর তিনি তারকারাজির দিকে একবার তাকালেন |
فَقَالَ إِنِّي سَقِيمٌ (89) এবং বললেন, 'নিশ্চয় আমি অসুস্থ [১]। |
فَتَوَلَّوْا عَنْهُ مُدْبِرِينَ (90) অতঃপর তারা তাকে পিছনে রেখে চলে গেল। |
فَرَاغَ إِلَىٰ آلِهَتِهِمْ فَقَالَ أَلَا تَأْكُلُونَ (91) পরে তিনি চুপিচুপি তাদের দেবতাগুলোর কাছে গেলেন এবং বললেন, 'তোমরা খাদ্য গ্রহণ করছ না কেন |
مَا لَكُمْ لَا تَنطِقُونَ (92) তোমাদের কী হয়েছে যে তোমরা কথা বল না |
فَرَاغَ عَلَيْهِمْ ضَرْبًا بِالْيَمِينِ (93) অতঃপর তিনি তাদের উপর সবলে আঘাত হানলেন। |
فَأَقْبَلُوا إِلَيْهِ يَزِفُّونَ (94) তখন ঐ লোকগুলো তার দিকে ছুটে আসল। |
قَالَ أَتَعْبُدُونَ مَا تَنْحِتُونَ (95) তিনি বললেন, 'তোমরা নিজেরা যাদেরকে খোদাই করে নির্মাণ কর তোমরা কি তাদেরই ইবাদাত কর |
وَاللَّهُ خَلَقَكُمْ وَمَا تَعْمَلُونَ (96) অথচ আল্লাহ্ই সৃষ্টি করেছেন তোমাদেরকে এবং তোমরা যা তৈরী কর তাও [১]। |
قَالُوا ابْنُوا لَهُ بُنْيَانًا فَأَلْقُوهُ فِي الْجَحِيمِ (97) তারা বলল, 'এর জন্য এক ইমারত নির্মাণ কর, তারপর একে জ্বলন্ত আগুনে নিক্ষেপ কর। |
فَأَرَادُوا بِهِ كَيْدًا فَجَعَلْنَاهُمُ الْأَسْفَلِينَ (98) এভাবে তারা তার বিরুদ্ধে চক্রান্তের সংকল্প করেছিল; কিন্তু আমরা তাদেরকে খুবই হেয় করে দিলাম [১]। |
وَقَالَ إِنِّي ذَاهِبٌ إِلَىٰ رَبِّي سَيَهْدِينِ (99) তিনি বললেন, 'আমি আমার রবের দিকে চললাম [১], তিনি আমাকে অবশ্যই হেদায়াত করবেন |
رَبِّ هَبْ لِي مِنَ الصَّالِحِينَ (100) হে আমার রব! আমাকে এক সৎকর্মপরায়ণ সন্তান দান করুন। |
فَبَشَّرْنَاهُ بِغُلَامٍ حَلِيمٍ (101) অতঃপর আমরা তাকে এক সহিষ্ণু পুত্রের সুসংবাদ দিলাম [১]। |
فَلَمَّا بَلَغَ مَعَهُ السَّعْيَ قَالَ يَا بُنَيَّ إِنِّي أَرَىٰ فِي الْمَنَامِ أَنِّي أَذْبَحُكَ فَانظُرْ مَاذَا تَرَىٰ ۚ قَالَ يَا أَبَتِ افْعَلْ مَا تُؤْمَرُ ۖ سَتَجِدُنِي إِن شَاءَ اللَّهُ مِنَ الصَّابِرِينَ (102) অতঃপর তিনি যখন তার পিতার সাথে কাজ করার মত বয়সে উপনীত হলেন, তখন ইবরাহীম বললেন, 'হে প্রিয় বৎস! আমি স্বপ্নে দেখি যে, তোমাকে আমি যবেহ করছি [১], এখন তোমার অভিমত কী বল?' তিনি বললেন, 'হে আমার পিতা! আপনি যা আদেশপ্ৰাপ্ত হয়েছেন তা-ই করুন। আল্লাহর ইচ্ছায় আপনি আমাকে ধৈর্যশীল পাবেন। |
فَلَمَّا أَسْلَمَا وَتَلَّهُ لِلْجَبِينِ (103) অতঃপর যখন তারা উভয়ে আনুগত্য প্রকাশ করলেন [১] এবং ইবরাহীম তার পুত্রকে উপুড় করে শায়িত করলেন |
وَنَادَيْنَاهُ أَن يَا إِبْرَاهِيمُ (104) তখন আমরা তাকে ডেকে বললাম, ‘হে ইবরাহীম |
قَدْ صَدَّقْتَ الرُّؤْيَا ۚ إِنَّا كَذَٰلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِينَ (105) আপনি তো স্বপ্নের আদেশ সত্যই পালন করলেন!’---এভাবেই আমরা মুহসিনদেরকে পুরস্কৃত করে থাকি। |
إِنَّ هَٰذَا لَهُوَ الْبَلَاءُ الْمُبِينُ (106) নিশ্চয়ই এটা ছিল এক স্পষ্ট পরীক্ষা। |
وَفَدَيْنَاهُ بِذِبْحٍ عَظِيمٍ (107) আর আমরা তাকে মুক্ত করলাম এক বড় যবেহ এর বিনিময়ে। |
وَتَرَكْنَا عَلَيْهِ فِي الْآخِرِينَ (108) আর আমরা তার জন্য পরবর্তীদের মধ্যে সুনাম-সুখ্যাতি রেখে দিয়েছি। |
سَلَامٌ عَلَىٰ إِبْرَاهِيمَ (109) ইবরাহীমের উপর শান্তি বৰ্ষিত হোক। |
كَذَٰلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِينَ (110) এভাবেই আমরা মুহসিনদেরকে পুরস্কৃত করে থাকি। |
إِنَّهُ مِنْ عِبَادِنَا الْمُؤْمِنِينَ (111) নিশ্চয় তিনি ছিলেন আমাদের মুমিন বান্দাদের অন্যতম |
وَبَشَّرْنَاهُ بِإِسْحَاقَ نَبِيًّا مِّنَ الصَّالِحِينَ (112) আর আমরা তাকে সুসংবাদ দিয়েছিলাম ইসহাকের, তিনি ছিলেন এক নবী, সৎকর্মপরায়ণদের অন্যতম। |
وَبَارَكْنَا عَلَيْهِ وَعَلَىٰ إِسْحَاقَ ۚ وَمِن ذُرِّيَّتِهِمَا مُحْسِنٌ وَظَالِمٌ لِّنَفْسِهِ مُبِينٌ (113) আর আমরা ইবরাহীমের ওপর বরকত দান করেছিলাম এবং ইসহাকের উপরও; তাদের উভয়ের বংশধরদের মধ্যে কিছু সংখ্যক মুহসিন এবং কিছু সংখ্যক নিজেদের প্রতি স্পষ্ট অত্যাচারী। |
وَلَقَدْ مَنَنَّا عَلَىٰ مُوسَىٰ وَهَارُونَ (114) আর অবশ্যই আমরা অনুগ্রহ করেছিলাম মূসা ও হারূনের প্রতি |
وَنَجَّيْنَاهُمَا وَقَوْمَهُمَا مِنَ الْكَرْبِ الْعَظِيمِ (115) এবং তাদেরকে এবং তাদের সম্প্রদায়কে আমরা উদ্ধার করেছিলাম মহাসংকট থেকে [১]। |
وَنَصَرْنَاهُمْ فَكَانُوا هُمُ الْغَالِبِينَ (116) আর আমরা সাহায্য করেছিলাম তাদেরকে, ফলে তারাই হয়েছিল বিজয়ী। |
وَآتَيْنَاهُمَا الْكِتَابَ الْمُسْتَبِينَ (117) আর আমরা উভয়কে দিয়েছিলাম বিশদ কিতাব [১]। |
وَهَدَيْنَاهُمَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ (118) আর উভয়কে আমরা পরিচালিত করেছিলাম সরল পথে। |
وَتَرَكْنَا عَلَيْهِمَا فِي الْآخِرِينَ (119) আর আমরা তাদের উভয়ের জন্য পরবর্তীদের মধ্যে সুনাম-সুখ্যাতি রেখে দিয়েছি। |
سَلَامٌ عَلَىٰ مُوسَىٰ وَهَارُونَ (120) মূসা ও হারূনের প্রতি সালাম (শান্তি ও নিরাপত্তা)। |
إِنَّا كَذَٰلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِينَ (121) এভাবেই আমরা মুহসিনদেরকে পুরস্কৃত করে থাকি। |
إِنَّهُمَا مِنْ عِبَادِنَا الْمُؤْمِنِينَ (122) নিশ্চয় তারা উভয়ে ছিলেন আমাদের মুমিন বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত। |
وَإِنَّ إِلْيَاسَ لَمِنَ الْمُرْسَلِينَ (123) আর নিশ্চয় ইলইয়াস ছিলেন রাসূলগণের একজন [১]। |
إِذْ قَالَ لِقَوْمِهِ أَلَا تَتَّقُونَ (124) যখন তিনি তার সম্প্রদায়কে বলেছিলেন, 'তোমরা কি তাকওয়া অবলম্বন করবে না |
أَتَدْعُونَ بَعْلًا وَتَذَرُونَ أَحْسَنَ الْخَالِقِينَ (125) তোমরা কি বা'আলকে ডাকবে এবং পরিত্যাগ করবে শ্রেষ্ঠ স্রষ্টা |
اللَّهَ رَبَّكُمْ وَرَبَّ آبَائِكُمُ الْأَوَّلِينَ (126) আল্লাহকে, যিনি তোমাদের রব এবং তোমাদের প্রাক্তন পিতৃপুরুষদেরও রব। |
فَكَذَّبُوهُ فَإِنَّهُمْ لَمُحْضَرُونَ (127) কিন্তু তারা তার প্রতি মিথ্যারোপ করেছিল, কাজেই তাদেরকে অবশ্যই শাস্তির জন্য উপস্থিত করা হবে। |
إِلَّا عِبَادَ اللَّهِ الْمُخْلَصِينَ (128) তবে আল্লাহর একনিষ্ঠ বান্দাদের কথা স্বতন্ত্ৰ। |
وَتَرَكْنَا عَلَيْهِ فِي الْآخِرِينَ (129) আর আমরা তার জন্য পরবর্তীদের মধ্যে সুনাম-সুখ্যাতি রেখে দিয়েছি। |
سَلَامٌ عَلَىٰ إِلْ يَاسِينَ (130) ইল্য়াসীনের [১] উপর শান্তি বৰ্ষিত হোক। |
إِنَّا كَذَٰلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِينَ (131) এভাবেই তো আমরা মুহসিনদেরকে পুরস্কৃত করে থাকি। |
إِنَّهُ مِنْ عِبَادِنَا الْمُؤْمِنِينَ (132) তিনি তো ছিলেন আমাদের মুমিন বান্দাদের অন্যতম। |
وَإِنَّ لُوطًا لَّمِنَ الْمُرْسَلِينَ (133) আর নিশ্চয় লুত ছিলেন রাসূলগণের একজন। |
إِذْ نَجَّيْنَاهُ وَأَهْلَهُ أَجْمَعِينَ (134) স্মরণ করুন, যখন আমরা তাকে ও তার পরিবারের সকলকে উদ্ধার করেছিলাম |
إِلَّا عَجُوزًا فِي الْغَابِرِينَ (135) পিছনে অবস্থানকারীদের অন্তর্ভুক্ত এক বৃদ্ধা ছাড়া। |
ثُمَّ دَمَّرْنَا الْآخَرِينَ (136) অতঃপর অবশিষ্টদেরকে আমরা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করেছিলাম। |
وَإِنَّكُمْ لَتَمُرُّونَ عَلَيْهِم مُّصْبِحِينَ (137) আর তোমরা তো তাদের ধ্বংসাবশেষগুলো অতিক্রম করে থাক সকালে |
وَبِاللَّيْلِ ۗ أَفَلَا تَعْقِلُونَ (138) ও সন্ধ্যায় [১]। তবুও কি তোমরা বোঝা না |
وَإِنَّ يُونُسَ لَمِنَ الْمُرْسَلِينَ (139) আর নিশ্চয় ইউনুস ছিলেন রাসূলগণের একজন। |
إِذْ أَبَقَ إِلَى الْفُلْكِ الْمَشْحُونِ (140) স্মরণ করুন, যখন তিনি বোঝাই নৌযানের দিকে পালিয়ে গেলেন |
فَسَاهَمَ فَكَانَ مِنَ الْمُدْحَضِينَ (141) অতঃপর তিনি লটারীতে যোগগান করে পরাভূতদের অন্তর্ভুক্ত হলেন [১]। |
فَالْتَقَمَهُ الْحُوتُ وَهُوَ مُلِيمٌ (142) অতঃপর এক বড় আকারের মাছ তাকে গিলে ফেলল, আর তখন সে নিজেকে ধিক্কার দিতে লাগল। |
فَلَوْلَا أَنَّهُ كَانَ مِنَ الْمُسَبِّحِينَ (143) অতঃপর তিনি যদি আল্লাহর পবিত্ৰতা ও মহিমা ঘোষণাকারীদের অন্তর্ভুক্ত না হতেন [১] |
لَلَبِثَ فِي بَطْنِهِ إِلَىٰ يَوْمِ يُبْعَثُونَ (144) তাহলে তাকে উত্থানের দিন পর্যন্ত থাকতে হত তার পেটে। |
۞ فَنَبَذْنَاهُ بِالْعَرَاءِ وَهُوَ سَقِيمٌ (145) অতঃপর ইউনুসকে আমরা নিক্ষেপ করলাম এক তৃণহীন প্রান্তরে [১] এবং তিনি ছিলেন অসুস্থ। |
وَأَنبَتْنَا عَلَيْهِ شَجَرَةً مِّن يَقْطِينٍ (146) আর আমরা তার উপর ইয়াকতীন [১] প্ৰজাতির এক গাছ উদ্গত করলাম |
وَأَرْسَلْنَاهُ إِلَىٰ مِائَةِ أَلْفٍ أَوْ يَزِيدُونَ (147) আর তাকে আমরা একলক্ষ বা তার চেয়ে বেশী লোকের প্রতি পাঠিয়েছিলাম। |
فَآمَنُوا فَمَتَّعْنَاهُمْ إِلَىٰ حِينٍ (148) অতঃপর তারা ঈমান এনেছিল; ফলে আমরা তাদেরকে কিছু কালের জন্য জীবনোপভোগ করতে দিলাম। |
فَاسْتَفْتِهِمْ أَلِرَبِّكَ الْبَنَاتُ وَلَهُمُ الْبَنُونَ (149) এখন তাদেরকে জিজ্ঞেস করুন, 'আপনার রবের জন্যই কি রয়েছে কন্যা সন্তান [১] এবং তাদের জন্য পুত্র সন্তান |
أَمْ خَلَقْنَا الْمَلَائِكَةَ إِنَاثًا وَهُمْ شَاهِدُونَ (150) অথবা আমরা কি ফেরেশতাদেরকে নারীরূপে সৃষ্টি করেছিলাম আর তারা দেখেছিল [১] |
أَلَا إِنَّهُم مِّنْ إِفْكِهِمْ لَيَقُولُونَ (151) সাবধান! তারা তো মনগড়া কথা বলে যে |
وَلَدَ اللَّهُ وَإِنَّهُمْ لَكَاذِبُونَ (152) ‘আল্লাহ সন্তান জন্ম দিয়েছেন।' আর তারা নিশ্চয় মিথ্যাবাদী। |
أَصْطَفَى الْبَنَاتِ عَلَى الْبَنِينَ (153) তিনি কি পুত্ৰ সন্তানের পরিবর্তে কন্যা সন্তান পছন্দ করেছেন |
مَا لَكُمْ كَيْفَ تَحْكُمُونَ (154) তোমাদের কী হয়েছে, তোমরা কিরূপ বিচার কর |
أَفَلَا تَذَكَّرُونَ (155) তবে কি তোমরা উপদেশ গ্ৰহণ করবে না |
أَمْ لَكُمْ سُلْطَانٌ مُّبِينٌ (156) নাকি তোমাদের কোনো সুস্পষ্ট দলীল-প্ৰমাণ আছে |
فَأْتُوا بِكِتَابِكُمْ إِن كُنتُمْ صَادِقِينَ (157) তোমরা সত্যবাদী হলে তোমাদের কিতাব [১] উপস্থিত কর। |
وَجَعَلُوا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْجِنَّةِ نَسَبًا ۚ وَلَقَدْ عَلِمَتِ الْجِنَّةُ إِنَّهُمْ لَمُحْضَرُونَ (158) তারা আল্লাহ্ ও জিন জাতির মধ্যে আত্মীয়তার সম্পর্ক স্থির করেছে [১], অথচ জিনেরা জানে, নিশ্চয় তাদেরকে উপস্থিত করা হবে (শাস্তির জন্য)। |
سُبْحَانَ اللَّهِ عَمَّا يَصِفُونَ (159) তারা (মুশরিকরা) যা আরোপ করে তা থেকে আল্লাহ্ পবিত্ৰ, মহান |
إِلَّا عِبَادَ اللَّهِ الْمُخْلَصِينَ (160) তবে আল্লাহর একনিষ্ঠ বান্দাগণ ছাড়া |
فَإِنَّكُمْ وَمَا تَعْبُدُونَ (161) অতঃপর নিশ্চয় তোমরা এবং তোমরা যাদের ইবাদাত কর তারা |
مَا أَنتُمْ عَلَيْهِ بِفَاتِنِينَ (162) তোমরা (একনিষ্ঠ বান্দাদের) কাউকেও আল্লাহ সম্বন্ধে বিভ্রান্ত করতে পারবে না |
إِلَّا مَنْ هُوَ صَالِ الْجَحِيمِ (163) শুধু প্ৰজ্জলিত আগুনে যে দগ্ধ হবে সে ছাড়া [১]। |
وَمَا مِنَّا إِلَّا لَهُ مَقَامٌ مَّعْلُومٌ (164) ‘আর (জিবরীল বললেন) আমাদের প্রত্যেকের জন্য নির্ধারিত স্থান রয়েছে |
وَإِنَّا لَنَحْنُ الصَّافُّونَ (165) ‘আর আমরা তো সারিবদ্ধভাবে দণ্ডায়মান |
وَإِنَّا لَنَحْنُ الْمُسَبِّحُونَ (166) এবং আমরা অবশ্যই তাঁর পবিত্ৰতা ও মহিমা ঘোষনাকারী [১]।’ |
وَإِن كَانُوا لَيَقُولُونَ (167) আর তারা (মক্কাবাসীরা) অবশ্যই বলে আসছিল |
لَوْ أَنَّ عِندَنَا ذِكْرًا مِّنَ الْأَوَّلِينَ (168) ‘পূর্ববর্তীদের কিতাবের মত যদি আমাদের কোনো কিতাব থাকত |
لَكُنَّا عِبَادَ اللَّهِ الْمُخْلَصِينَ (169) আমরা অবশ্যই আল্লাহর একনিষ্ঠ বান্দা হতাম।’ |
فَكَفَرُوا بِهِ ۖ فَسَوْفَ يَعْلَمُونَ (170) কিন্তু তারা কুরআনের সাথে কুফরী করল সুতরাং শীঘ্রই তারা জানতে পারবো [১] |
وَلَقَدْ سَبَقَتْ كَلِمَتُنَا لِعِبَادِنَا الْمُرْسَلِينَ (171) আর অবশ্যই আমাদের প্রেরিত বান্দাদের সম্পর্কে আমাদের এ বাক্য আগেই স্থির হয়েছে যে |
إِنَّهُمْ لَهُمُ الْمَنصُورُونَ (172) নিশ্চয় তারা সাহায্যপ্রাপ্ত হবে |
وَإِنَّ جُندَنَا لَهُمُ الْغَالِبُونَ (173) এবং আমাদের বাহিনীই হবে বিজয়ী। |
فَتَوَلَّ عَنْهُمْ حَتَّىٰ حِينٍ (174) অতএব কিছু কালের জন্য আপনি তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকুন। |
وَأَبْصِرْهُمْ فَسَوْفَ يُبْصِرُونَ (175) আর আপনি তাদেরকে পর্যবেক্ষণ করুন, শীঘ্রই তারা দেখতে পাবে। |
أَفَبِعَذَابِنَا يَسْتَعْجِلُونَ (176) তারা কি তবে আমাদের শাস্তি ত্বরান্বিত করতে চায় |
فَإِذَا نَزَلَ بِسَاحَتِهِمْ فَسَاءَ صَبَاحُ الْمُنذَرِينَ (177) অতঃপর তাদের আঙিনায় যখন শাস্তি নেমে আসবে তখন সতর্কীকৃতদের প্ৰভাত হবে কত মন্দ [১] |
وَتَوَلَّ عَنْهُمْ حَتَّىٰ حِينٍ (178) আর কিছু কালের জন্য আপনি তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকুন। |
وَأَبْصِرْ فَسَوْفَ يُبْصِرُونَ (179) আর আপনি তাদেরকে পর্যবেক্ষণ করুন, শীঘ্রই তারা দেখতে পাবে। |
سُبْحَانَ رَبِّكَ رَبِّ الْعِزَّةِ عَمَّا يَصِفُونَ (180) তারা যা আরোপ করে, তা থেকে পবিত্র ও মহান আপনার রব, সকল ক্ষমতার অধিকারী। |
وَسَلَامٌ عَلَى الْمُرْسَلِينَ (181) আর শান্তি বৰ্ষিত হোক রাসূলগণের প্ৰতি |
وَالْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ (182) আর সকল প্রশংসা সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহরই প্ৰাপ্য [১]। |